জলমহালে জেলে খুন; এমপিসহ তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় এবার সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সুনই জলমহালের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জেলে নিহতের ঘটনায় এবার ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিছবাহ উদ্দিন আহমদের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে চন্দন বর্মণ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, তার ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেলন হোসেন রোকন, আরও দুই ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ ও মোবারক হোসেন যতনসহ ৬৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালতে অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধর্মপাশার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক ধর্মপাশা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে বিকাল চারটা পর্যন্ত আদালতের কোনও আদেশ পাইনি।
তবে অভিযোগে বিষয়ে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি এবং তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকন ঘটনার সময় সুনামগঞ্জ শহরে ছিলেন। জলমহালে খুনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। জলমহাল নিয়ে দুই মৎস্যজীবী সমিতির দ্বন্দ্ব চলছে। এখানে তাকে এবং তার ভাইকে জড়ানোর চেষ্টা করছে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।তিনি এসব কিছুই জানেন না।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুখন, আরও দুই ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ ও মোবারক হোসেন যতন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, চন্দন বর্মণের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন।কিন্তু তাতে তার কিছুই করার নেই। চন্দন বর্মণ মামলা না দেওয়ায় ধর্মপাশা থানার পুলিশ ১০ জানুয়ারি বাধ্য হয়ে মামলাটি নিয়েছে আইন প্রক্রিয়া চালানোর জন্য। চন্দন বর্মণ এই বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
জেবি
মন্তব্য করুন