সেদিন আনুশকার মায়ের পা জড়িয়ে বাঁচান বাঁচান বলছিলো দিহান
দিহানের বাসায় আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর আমাকে ফোন করে হাসপাতালে যেতে বলা হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, দিহানসহ তার তিন বন্ধু বসে আছে। দিহান আমার পা জড়িয়ে ধরে বলে আন্টি আমাকে বাঁচান।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে হত্যার শিকার মেয়েটির পরিবার। সেখানে মেয়েটির মা একথা বলেন ।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার মেয়ের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার মেয়ের চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা যেভাবে মামলাটি করতে চেয়েছিলাম, পুলিশ সেভাবে মামলাটি নেয়নি’
আনুশকার মা বলেন, আসামির বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মৃত মেয়েকে নিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালানোয় আমরা আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল দিহান ও তার বন্ধুদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আসামিদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় সরকারের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে তদন্তের দাবি জানানো হয়।
মেয়েটির মা-বাবা বলেন, আমাদের মতো আর কোনও মা-বাবার বুক যেন খালি না হয়। আর যেন কোনো মা এমন কষ্ট না পায়। কোনও মেয়েকে যেন আর অকালে এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে না হয়।
গেলো বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) আনুশকা নামের ওই ছাত্রী তার বন্ধু দিহানের বাসায় যান। সেখানে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন...
দিহানের ডাকে ফাঁকা বাসায় একাই গিয়েছিলো আনুশকা
‘দারোয়ান দেখেন রক্তাক্ত আনুশকাকে সোফায় শুইয়ে রাখা হয়েছে’
জেবি
মন্তব্য করুন