আড়াই বছর ধরে গাইনী ডাক্তার নেই, প্রসূতিকে বাঁচাতে সিজার করলেন সিভিল সার্জন
একদল চিকিৎসক নিয়ে পরিদর্শনে এসেছিলেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সে সময় এক প্রসূতি মায়ের সিজারের প্রয়োজন হলে হাসপাতালে কোনও গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় তিনি সঙ্গে থাকা চিকিৎসকদের নিয়ে সিজারের দায়িত্বটুকু নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
এ সময় তিনি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দীনকে এনেস্থেসিওলজিস্ট এবং মেডিকেল অফিসার ডা. আবু নেওয়াজ, ডা. এস এম সাকিবুর রহমান, ডা. ইয়ার আলী মুন্সিকে সহকারী সার্জন হিসেবে সঙ্গে নিয়ে সিজার অপারেশন সঠিকভাবে শেষ করেন।
এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম সাকিবুর রহমান জানান, হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হঠাৎ প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে আসেন রত্না বেগম। তবে তার স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতার সম্ভাবনা থাকায় জরুরিভাবে অপারেশন দরকার হয়ে পড়ে। কিন্তু ওই হাসপাতালে কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় সিভিল সার্জন নিজেই আমাদেরকে নিয়ে অপারেশন করেন।
তিনি আরও জানান, ওই হাসপাতালে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় কোনও অপারেশন হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিভিল সার্জন হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের রত্না খানম নামে এক নারীর জরুরি ভিত্তিতে অপারেশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ নিজেই অপারেশন করেন।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, নানান সমস্যার কারণে দীর্ঘ আড়াই বছর অপারেশন বন্ধ থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। শীগ্রই যাতে অপারেশন চালু করা যায় তার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাক্তারের পদায়নসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন...
কিশোরীকে ধর্ষণের পর পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করান আত্মীয়, অতঃপর…
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন