পিরোজপুরে শিক্ষক হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় স্কুল শিক্ষক সমীরণ মজুমদারকে হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পিরোজপুরের দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন। এসময় এই তিন জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর ৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দিপঙ্কর রায়, খোকন সেখ ও নুরুল ইসলাম সেখ।
এছাড়া, সমীরণের স্ত্রী স্বপ্নাকে কুপিয়ে জখম করার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত এই তিনজনের প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় দীপঙ্কর বাদে অন্য সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দীপঙ্কর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাত ২টায় জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাংগা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারি গ্রামে স্কুলশিক্ষক সমীরণ মজুমদার (৫০) এর ঘরে সিঁদ কেটে ঢুকে ২ জন আসামি। ঘরের দরজা খুলে সমীরণকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দিপঙ্কর রায়, খোকন সেখ ও নুরুল ইসলাম সেখ তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সমীরণের ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় পাশের রুমে ঘুমানো তার স্ত্রী স্বপনা বসু ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে আসামিরা তাকেও কুপিয়ে আহত করেন। তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন এসে আহতদের প্রথমে নাজিরপুর হেলথ কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই সমীরণ মারা যান। পরবর্তীতে সমীরণের স্ত্রী স্বপনা নাজিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পিঁপিঁ খান মো. আলাউদ্দিন জানান, মামলায় মোট সাতজন আসামি ছিল। এবং মোট ২৩ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১নং আসামি পূর্বেই জামিনে বের হয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি ৬ আসামি রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল ও মো. দেলোয়ার হোসেন।
এসএস
মন্তব্য করুন