প্রেমিকের সঙ্গে আবাসিক হোটেলে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
বেড়ানোর কথা বলে কুয়াকাটায় এনে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে প্রেমিকাকে (২৩) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি তালতলী উপজেলার সারিকখালী গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে মহিপুর থানায় গতকাল সোমবার রাতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পরে রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন রনি প্যাদা (২৪), মাইনুল ইসলাম (২০) ও হোটেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০-১৫ দিন আগে দশমিনা উপজেলার রনি প্যাদার সঙ্গে তালতলী উপজেলার ওই তরুণীর ফোনে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে গেলো রোববার সন্ধ্যায় তাকে নানা প্রলোভনে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে আসেন রনি।
তারা সিলভার ক্রাউন নামের একটি আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সেখানে তাকে প্রথমে ধর্ষণ করেন রনি।
পরে দশমিনা থেকে আসা মাইনুল ইসলামও তাকে ধর্ষণ করেন। এতে সহযোগিতা করেন হোঠেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।
মহিপুর থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন...
প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা, অতঃপর জেলে স্ত্রী
বিধবাকে ধর্ষণ: ধর্ষককে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে অজ্ঞান কিশোরীকে বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়
জেবি
মন্তব্য করুন