স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী শ্যালিকাকে (১৫) বাড়িতে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাউড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত আলামিনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। এরপর রাতেই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত আলামিন (৩০) উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাউড়ি গ্রামের মৃত মরছব আলীর ছেলে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রওশন আলী বলেন, আলামিন পেশায় একজন ট্রলিচালক। ছয় বছর আগে তিনি পাশের গ্রামের ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর বড় বোনকে বিয়ে করেন। নেশাগ্রস্ত হওয়ায় স্ত্রীর কাছে প্রায়ই টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন এবং অত্যাচার করতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছরের সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে প্রথমে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে সেখান থেকে তিনি ঢাকায় চলে যান।
তিনি আরও বলেন, স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে শ্যালিকাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন আলামিন। এতে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলেও তিনি বিরত থাকেননি। শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাসে বাড়িতে এনে ধর্ষণ করেন আলামিন। সন্ধ্যার পর মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে আলামিনের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে বেরিয়ে আসতে দেখেন তার বাবা। এরপরে ওই দিন রাতেই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী তার মাকে ইশারায় জানায়, আলামিন তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে আলামিন পলাতক রয়েছে।
এসআই রওশন আলী আরও বলেন, মামলার পর সোমবার সকালে কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য কিশোরীকে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়াও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন...
প্রেমে বাধা দেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা, অতঃপর জেলে স্ত্রী
বিধবাকে ধর্ষণ: ধর্ষককে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে অজ্ঞান কিশোরীকে বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়
জিএম/পি
মন্তব্য করুন