ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে অজ্ঞান কিশোরীকে বাড়ির পাশে ফেলে রাখা হয়
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী রাকিব নামের এক যুবক। পরে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ির বাইরে ফেলে যায় সে। স্বজন ও আশপাশের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন আরটিভি নিউজকে জানান, শিশুটির বাবা তাদের প্রতিবেশী মো. রাকিবকে (২২) অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করছে।
থানায় করা অভিযোগ ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে তার নাবালিকা শিশুটি (১০) টয়লেটে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী রাকিব তার হাত ও মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে তার রুমে নিয়ে যায়। পরে শিশুর হাতে ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। পাশবিক নির্যাতনের সময় শিশুটি অচেতন হয়ে পরলে তাকে ঘরের বাইরে রেখে ফেলে রেখে চলে যায়। এদিকে শিশুটির বাবা-মা তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজ করে রাকিবের ঘরের সামনে পরে থাকতে দেখে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। রাত একটার দিকে শিশুটির জ্ঞান ফিরে এলে সে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।
নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জমান জানান, শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন