• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জলমহাল দখল নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৮ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:২৭
জলমহাল×ধর্মপাশা×সুনামগঞ্জ×শ্যামাচরণ×বাংলাদেশ×
আরটিভি নিউজ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার সুনই জলমহালের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জেলে নিহত এবং উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। জলমহালে থাকা একপক্ষের স্থাপনা (খলা) পুড়িয়ে দিয়েছে অপর পক্ষের লোকজন। নিহতের নাম শ্যামাচরণ বর্মন (৬৫)। তিনি উপজেলার পাইকুরহাটি ইউনিয়নের সুনই গ্রামের বাসিন্দা। শ্যামাচরণ বর্মণকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহেতর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনতাসির হাসান।

এ ঘটনায় জলমহাল পাড়ের আশপাশের গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দ্বন্দ্বে জড়িত দুই পক্ষের মধ্যে একপক্ষে (হামলাকারী) স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ছোট ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রোকন ছিলেন।

জানা যায়, ধর্মপাশার বৃহৎ জলমহাল সুনই নিয়ে দুই মৎস্যজীবী সমিতির দ্বন্দ্ব চলছে অনেক দিন ধরে। জলমহালের খাজনা পরিশোধ করে দুই পক্ষই মহালের মালিকানা দাবি করে আসছে। একপক্ষ সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রুখনের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় জলমহালের পাড়ে থাকা একপক্ষের মাছের খলায় আরেকপক্ষ আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন শ্যামাচরণ বর্মণ নামের ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে। ১০-১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনতাসির হাসান জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অনেককে আটক করে নিয়ে গেছে। নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, জলমহালটির ইজারা নিয়ে স্থানীয় দুটি মৎস্যজীবী সমিতির দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। দুই মৎস্যজীবী সমিতির নেতা চন্দন বর্মণ এবং সুবীর বর্মণ মহালের খাজনা জমা দিয়ে রশিদ দেখিয়ে জলমহালের দখল নিতে চাইলে জেলা প্রশাসন কাউকেই দখল বুঝিয়ে দেননি।

কিন্তু দুই পক্ষই ওখানে মাছ ধরার জন্য স্থাপনা (খলা) নির্মাণ করেছে। চন্দন বর্মণের পক্ষ উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ পায়। জলমহালে অন্য পক্ষের লোকজনও দখলে ছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওখানকার স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেও তিনি নির্দেশ প্রতিপালন করেননি।

বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় সুবীর বর্মণের লোকজন অন্যপক্ষের স্থাপনায় হামলা করেছে। এ সময় চন্দন বর্মণের বাবা শ্যামাচরণ বর্মণ খুন হয়েছেন। হামলাকারীদের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রোকন ছিলেন বলে জানা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রোকনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৪ এপ্রিল)
দায়িত্ব নিয়েই যে চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ
X
Fresh