• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সরকারি খাস জমি নিয়ে বাণিজ্যে মেতে উঠেছে দোহারের সিদ্দিকুর রহমান (ভিডিও)

অমিতাভ অপুর

  ০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:১৯

সরকারি খাস জমি নিয়ে বাণিজ্যে মেতে উঠেছে দোহার উপজেলার চর বইতা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান। পেশায় দোহার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক। এজন্য কাগজে-কলমে পটু মহুরি অকপটেই চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি বেচা-বিক্রি ও হস্তান্তর বাণিজ্য। মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭৯ শতাংশের একটি সরকারি খাস জমিকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করছেন সিদ্দিকুর রহমান। অভিযোগ আছে প্রায় ১২ বছর ধরে ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চর বইতা গ্রামে সরকারি খাস জমি নিয়ে বাণিজ্য করে আসছেন তিনি।

অভিযোগকারীরা বলেন, সিদ্দিকুর আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তিনি বলেন দলিল করে দিবে। আমি আর সিরাজ ডাক্তার ১৬ শতাংশ জায়গা নিয়েছিলাম। এরপর সিদ্দিকুরের কাছে গেলাম বললাম আমাদের টাকা ফিরত দেন। আপনার জমিন তো সরকার নিয়ে যাবে। তখন বলছে সমস্যা নাই আমি তো তোমাকে ভূমিহীন করে দিতে চেয়েছি।

সরকারি খাস জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের কোনও আইন না থাকায় ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেন সিদ্দিক মহুরি। খাস জমিকে নিজের দখলীয় জমি বলে প্রচার করে টাকার বিনিময়ে কাগজপত্র তৈরি করে। তা হস্তান্তরে করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

অভিযোগকারীরা আরও বলেন, ৩৭ লাখ টাকা বিক্রি করেছে ৫ জনের কাছে কিন্তু জায়গার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।

এতো কিছুর পরও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ সিদ্দিক মহুরি। ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার জানান, সরকারি জমি নিয়ে যারাই বাণিজ্যে করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা দোহারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, জমিটি সম্ভবত চার থেকে পাঁচজনের কাছে জমি বিক্রি করেছে আমি শুনেছি। এরপর আমি সরকারি জায়গাতে সাইনবোর্ড দিয়ে চিহ্নিত করে তা উদ্ধার করি।

শুধু সিদ্দিক মুহুরি নন সরকারি জমি বেচা-বিক্রি ও বরাদ্দ নিয়ে বাণিজ্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

জিএম/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh