বিয়ে দিলে মেয়েকে ফেরত দেয়া হবে, অপহরণের পর অপহরণকারীর ফোন!
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত বখাটে আতিক মিয়া (২৮) বড়হিত ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) গাজীপুর থেকে উদ্ধারের পর ওই দিন রাতেই মাদরাসাছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মো. আতিক মিয়া ও তার সহযোগীদের আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর ৬ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রীকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আতিক ওই মাদরাসাছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে উত্যক্ত করত বিভিন্ন সময়। আর বিয়ের কথা বলে ছাত্রীকে বিরক্ত করতো নিয়মিত ভাবে। তবে বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে আতিক তার দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে।
পরদিন ৩১ ডিসেম্বর আতিক ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে জানায় বিয়ে দিলে তাদের মেয়েকে ফেরত দেয়া হবে। এরপর আর কোনও ধরনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় দুইদিন পর মাদরাসাছাত্রীর ভাই ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্তে নামে।
এ অবস্থায় অপহরণের শিকার ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায় তাকে নির্যাতনের পর আতিক গাজীপুরের একটি সড়কে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তিনি তার ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে একদল পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, আতিক বিয়ে প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণের পর কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ের কথা বলে মহাসড়কে রেখেই পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক সম্ভব হয়নি। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত আতিকসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জিএম/ এসএস
মন্তব্য করুন