জমি দখলের মামলায় জেলে চেয়ারম্যান
পঞ্চগড়ে জমি দখল সংক্রান্ত ক্রিমিনাল মামলায় এক চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মতিউর রহমান জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কুদরত-ই ক্ষুদা মিলনকে জেল হাজতের নির্দেশ দেয়।
২০২০ সালের ১৬ মার্চ উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের মো. আব্দুল হামিদের দায়ের করা জমি সংক্রান্ত মামলায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এসময় মামলার জামিন শুনানিতে বাদী পক্ষে আইনজীবী হিসেবে অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব, কামরুজ্জামান রাশেদ, মো. আল ফয়সাল লেলিন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, হকিকুল ইসলাম হকি, নবিউর রহমান আপেল শুনানিতে অংশ নেয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন বাংলাবান্ধা এলাকায় আব্দুল হামিদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমিনুর ট্রেডার্স এর দখল নিতে হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল হামিদের স্ত্রী আমেনা বেগম ও আইনুল হকের স্ত্রী সালেকা গুরুতর আহত হয়। পরে ঘটনার তিন দিন পর ১৬ মার্চ ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৬ মার্চ ২০২০ সালে কুদরত-ই ক্ষুদা মিলনকে হুকুমদাতা উল্লেখ করে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে আব্দুল হামিদ। মামলা দায়েরের পর আদালত ৩০ মার্চ মেডিকেল সার্টিফিকেট তলবের দিন ধার্য করে। পরে ৩০ মার্চ আদালত মেডিকেল সার্টিফিকেট বিবেচনা করে ৫ নম্বর আসামি সামসোদ্দোহা ও ৬ নম্বর সেলিম রানাকে বাদ দিয়ে সমন গত ৪ নভেম্বর ২০২০ জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
ওই দিন আদালত ৯, ১০, ১১, ১২ নম্বর আসামিকে স্থায়ী জামিনের আদেশ দেয় এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা প্রদান করে। পরে বাকি ৫ জন আসামি উচ্চ আদালতে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন পায়। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ৮ ডিসেম্বর আসামিরা আদালতের হাজির হলে আদালত ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) ৫ জন আসামি আদালতে হাজির হলে আদালত ১ নং আসামি কুদরত-ই ক্ষুদা মিলন ও ৪ নং আসামি সাইদুল ইসলামকে জামিন নামুঞ্জর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। বাকি তিনজন আসামির জামিন মুঞ্জর করে আদালত।
জিএম/এসএস
মন্তব্য করুন