বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় চালক রিমান্ডে
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মূল আসামি গ্রেপ্তার বাসচালক শহীদ মিয়ার (২৬) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের আমলি আদালতের দিরাই জোনের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূর এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আসামি শহীদ মিয়াকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। আদালতে রিমান্ডের ওপর শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর শহীদ মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন আরটিভি নিউজকে জানান, বাসচালক শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। গেল শনিবার ভোরে সিআইডি পুলিশ সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে আটক করে। পরদিন রোববার সিআইডির হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে শহীদ মিয়াকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
হেলপার রশিদও ২৯ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জাবনবন্দি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গেলো ২৬ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের কাছে এলে যাত্রীবাহী বাসটিতে একা হয়ে যান তিনি। এ সময় চালক ও হেল্পার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেল্পার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
ওই ছাত্রী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে বাবা-মায়ের কাছে দিয়েছেন। মেয়েটি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জেবি
মন্তব্য করুন