২০ হাজার জনসংখ্যার গ্রামে এখন দেড় হাজার মানুষ (ভিডিও)
রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের দুর্গম এলাকা চর খিদিরপুর এবং খানপুর। এক সময় এই এলাকার মানচিত্র ছিল অনেক বড়। পদ্মার ভাঙনে প্রায় ২০ হাজার লোকসংখ্যার গ্রামটি এখন পরিণত হয়েছে, দেড় হাজার লোকসংখ্যায়। প্রতি বছর বিলীন হচ্ছে এখানকার হেক্টরের পর হেক্টর জমি। মানচিত্রে এই চরটির অবস্থান যেন নিশ্চিহ্ন না হয় সেজন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পাশেই চরটির অবস্থান। রাজশাহী শহর থেকে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার নৌপথে পাড়ি দিয়ে যেতে হয়, দুর্গম চর খিদিরপুরে। পদ্মা পাড়ের এই এলাকায় এক সময় ছিল ২০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। সময়ের ব্যবধানে চরটি বিলীন হতে চলেছে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতি বছর নদী ভাঙতে ভাঙতে যদি আমরা ইন্ডিয়ার ভেতর চলে যাই তাহলে সরকারেরও ক্ষতি জনগণেরও ক্ষতি। নদী ভাঙনে সব শেষ।
কিন্তু প্রমত্ত পদ্মার তাণ্ডবে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র জনপদে পরিণত হয়েছে চরটি। ভাঙনের কারণে পদ্মার ৪০০ মিটার সীমা এখন ভারতের সীমানায়। ফলে এই ৪০০ মিটারের জন্য ভোগান্তি চরমে। ১৭ কিলোমিটার ঘুরে রাজশাহী শহরে প্রবেশ করতে হয় চরবাসীর। ভারতের এই ৪০০ মিটার সীমানা ব্যবহারের জন্য করিডোর নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, একটি করিডোর দেয়া যাতে চরের বাসীন্দাদের ঘুরে না আসতে হয়। এ বিষয়টি ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে এবং আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। নদী ভাঙনের শিকার অনেকেই এখন উদ্বাস্তু। পাড়ি জমিয়েছে শহরাঞ্চলে। আবার কেউ কেউ বছর চুক্তিতে জায়গা ভাড়া নিয়ে থাকছেন চরেই। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি চেয়েছেন স্থানীয়রা।
জিএম/ এমকে
মন্তব্য করুন