বিয়ের আগে হবু বরের কাছে পাত্রীর নগ্ন ভিডিও পাঠালো প্রেমিক
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করে প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে গিয়ে কারাগারে গেলো প্রেমিক ও তার দুই সহযোগী। গেলো শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, প্রেমিক চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের হলুদ ব্যাপারীবাড়ির মৃত নুরনবীর ছেলে আরমান হোসেন রাজিব (২৬) ও তার দুই সহযোগী চরপকিয়া ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের তিন নম্বর ওয়ার্ডে ভূঁইয়াবাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে মেহবুব জামান রিমন (২২) এবং বসুরহাট পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউদ্দিন ব্যাপারীবাড়ির হোসেন আহম্মেদের ছেলে ইমাম হোসেন (২৪)।
পুলিশ ও মামলার বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায়, বখাটে আরমান হোসেন রাজিব প্রেমের সম্পর্ক গড়ে মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করে ইজ্জত হরণ করাই তার পেশা ও নেশা।
ঘটনার মূল নায়ক রাজিব সরকারি মুজিব কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে কলেজে যাওয়া-আশার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে মেসপর্যন্ত ওই ছাত্রীকে লম্পট রাজিব প্রেমের ফাঁদে ফেলে।
- আরো পড়ুন...
- ‘নাপিত স্বামীতো আমাকে সুখ দিতো, বাবার কী সমস্যা’, বললেন নারী চিকিৎসক
- বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণের পরেই বাচ্চা নষ্টের ওষুধ সেবন করাতো প্রেমিক
- বউ বানাতে চেয়ে শারীরিক সম্পর্ক, গর্ভপাত ঘটিয়ে বিদায় অভিনেত্রীকে
- রাতভর প্রেমিকার সঙ্গে ফূর্তি করে সকাল বেলায় ধরা খেলো পুলিশ সদস্য
পেরে বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। পরে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে। বিষয়টি ওই ছাত্রীর বাবা বখাটে রাজিবের অভিভাবক ও আত্মীয়স্বজনকে জানানোর পর তারা বিষয়টির কোনো প্রতিকার করেনি। এতে রাজিব আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে এবং গেলো কিছুদিন যাবত মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বেশ কিছু ছবি ছেড়ে দেয়।
এরই মধ্যে গেলো ২২ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর বিয়ের কথা সম্পন্ন হয়। এতে রাজিব ও তার সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা ওই ছাত্রীর হবু বর, শ্বশুর ও নিকটাত্মীয়দের বিয়ে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যে ওইসব আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রদর্শন করে। বিয়ে বন্ধ করা না হলে প্রাণে হত্যা করার হুমকিও প্রদর্শন করা হয়।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানোর পর মূলনায়ক রাজিবসহ তার সহযোগীরা ২৬ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর হবু বরের বাড়িতে গিয়ে নানা হুমকি-ধামকি দেয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার মূলনায়ক বখাটে রাজিব, তার সহযোগী রিমন ও ইমাম হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে কোম্পানিগঞ্জ থানায় গেলো ২৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় সাত সাক্ষীর মধ্যে ওই ছাত্রীর হবু বর মো. রুবেল ও হবু শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা গোফরান মাস্টার সাক্ষী রয়েছেন।
মামলার তদন্তাকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় তিন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন