ধর্ষণের কথা ধর্ষকের মাকে জানালেও প্রতিকার পাননি গৃহবধূ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল থেকে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি চুরি করে ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান রাকিব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ওই গৃহবধূ রাকিব ও তার মাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় রাকিবের মা রুনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ৫ নং ওয়ার্ডের এক যুবকের সঙ্গে চার বছর আগে ওই নারীর বিয়ে হয়। সন্তানের জন্মের পর বিদেশে চলে যান গৃহবধূর স্বামী। অভিযুক্ত রাকিব ওই গৃহবধূর ভাসুরের ছেলে। তাদের ঘরে যাওয়া-আসার কোন একসময় গৃহবধূর অজান্তে তার মোবাইল থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কিছু অন্তরঙ্গ ছবি নিজের মোবাইলে নেয় রাকিব। পরবর্তীতে ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাকিব।
ওই গৃহবধূ ঘটনাটি রাকিবের বাবা-মাকে জানায়। তবে কোন প্রতিকার না পেয়ে উল্টো তারা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। আর নিজের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে প্রবাসী স্বামীকেও এ বিষয়ে কিছুই জানাননি ওই গৃহবধূ।
গত ২২ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই গৃহবধূর ঘরে আসে রাকিব। এসময় রাকিব তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে ফেলে হত্যার হুমকি ও ছবিগুলো আজই ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে জোর করে ফের ধর্ষণ করে। একইদিন সন্ধ্যায় কৌশলে আবারও ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রাকিব। তখন ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় পালিয়ে যায় রাকিব।
পরে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তার বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় ২৪ ডিসেম্বর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, ওই গৃহবধূর করা মামলার ৩ নং আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রাকিবকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এসএস
মন্তব্য করুন