টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে বন্ধুদের ধর্ষণের শিকার কিশোরী
টিকটক করতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের পর নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার ঢাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির (১৭) ও ঢাকা জেলার গেণ্ডারিয়ার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম (১৭)।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু বন্ধুদের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ঐ কিশোরীর। পরে নিজেদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন স্থানে থাকা বন্ধুদের এক সঙ্গে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
- আরো পড়ুন...
- বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণের পরেই বাচ্চা নষ্টের ওষুধ সেবন করাতো প্রেমিক
- বউ বানাতে চেয়ে শারীরিক সম্পর্ক, গর্ভপাত ঘটিয়ে বিদায় অভিনেত্রীকে
- রাতভর প্রেমিকার সঙ্গে ফূর্তি করে সকাল বেলায় ধরা খেলো পুলিশ সদস্য
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আটককৃত শিশির ও ফাহিম নির্যাতিতা কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্যাতিতা কিশোরীর মা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিলের মধুবাগ এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরি করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়েরি করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকার কথা জানা যায়। থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জিএ/পি
মন্তব্য করুন