• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রেমের সম্পর্কে শ্যালিকা খুন, শ্বশুরের মামলায় গ্রেপ্তার জামাই

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৫৫
Shalika murdered about love, son-in-law arrested in father-in-law case
শ্বশুরের মামলায় গ্রেপ্তার জামাই সোহাগ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্ত্রী প্রবাসে থাকার সুযোগে শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সোহাগ নামের এক যুবক। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের দিকেও কুদৃষ্টি পড়ে তার। এতে শ্যালিকা দুলাভাইকে শাসিয়ে দিলে লম্পট দুলাভাই শ্যালিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে গিয়ে অবশেষে ধরা খেয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সোহাগ। ঘটনাটি ঘটেছে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাঁও গ্রামের আব্দুর ছাতিরের মেয়ে ছিতারাকে ১০ বছর আগে বিয়ে করে হবিগঞ্জ পৌর এলাকার যশোরআব্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে সোহাগ। বিয়ের পর সোহাগ তার শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। সোহাগের তিন বছরের শাওন নামের একটি ছেলে রয়েছে। কিছুদিন পর সোহাগ তার স্ত্রী ছিতারাকে সৌদি আরব পাঠিয়ে দেয়। সোহাগের সন্তানের দেখাশোনা করতেন শ্যালিকা জুনেরা। এ সুবাদে শ্যালিকার সাথে সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জীবিকার তাগিদে জুনেরাও সৌদি আরব চলে যায়। প্রবাসে ৪ মাস অবস্থানের পর করোনার কারণে দেড়মাস আগে জুনেরা দেশে চলে আসে। জুনেরার পরিবার জুনেরাকে বারবার বিয়ে দিতে চাইলে লম্পট দুলাভাই পাত্রদেরকে ভুল বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিত। এরই মাঝে সোহাগ স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি দেয়। লম্পট দুলাভাইয়ের কুমতলব বুঝতে পেরে শ্যালিকা জুনেরা দুলাভাইকে শাসিয়ে দেয়। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে শ্যালিকার সাথে বাকবিতণ্ডা নিয়ে শ্যালিকা জুনেরা খাতুনকে ওড়না পেঁছিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালায় সোহাগ। হত্যার পর দুলাভাই নিজেই শ্যালিকার লাশ তড়িঘড়ি করে দাফন করার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি জুনেরার আত্মীয় স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করে।

বুধবার রাতে মেয়ের জামাই সোহাগকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আব্দুর ছিতার মিয়া। মামলা দায়ের করার পর চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফের নির্দেশে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক দুলাভাই সোহাগকে আটক করেন। পরে সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করলে তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয় ঘাতক সোহাগ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি মো. আলী আশরাফ জানান, নিহত জুনেরার বাবার মামলা দায়েরের পর আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি। হত্যায় ব্যবহৃত ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি সোহাগ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদানের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক আল আমিন জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি সোহাগ স্বীকারোক্তি প্রদান করেছেন। তবে কি বলেছে তা বিস্তারিত বলা যাবে না।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে এসে সরে গেলেন প্রেমিকা, প্রেমিকের মৃত্যু
X
Fresh