পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে ধর্মঘট চলছে
সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। যাতে সমর্থন রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোরও। সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মতো সিলেট থেকে কোনও ধরনের দূরপাল্লার বাস দেশের কোথাও ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ট্রাক। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। সিলেট থেকে হোসাইন আহমদ সুজাদের রিপোর্ট।
বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে গেলো মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ, বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও পাথর ব্যবসায়ী মালিক ঐক্য পরিষদ। ধর্মঘটের আজ তৃতীয় দিনে সকাল থেকে শ্রমিকরা নগরীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন। সিলেট থেকে দেশের কোথাও ছেড়ে যায়নি কোনও বাস বা ট্রাক। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ।
পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে শ্রমিক নেতারা বলছেন বোমা মেশিন নয় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি আছে হাই কোর্টের। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার কারণে এই মুহূর্তে বেকার হয়ে পড়েছেন ১০ লাখ শ্রমিক।পাথর উত্তোলনের অনুমতি না পেলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে শ্রমিকরা।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের দায়ের করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন উচ্চ আদালত। সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্ষোভ-সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়।
জেবি
মন্তব্য করুন