ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
একই ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে এসব অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে এলাকায় সালিশ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বিশিষ্টজনদের নিয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এলজিএসপি’র ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বজলুর রশীদ। হোল্ডিং ট্যাক্সের লক্ষাধিক টাকার হিসাবে গড়মিল করেছেন। স্থানীয় বান্দের বাজারে এনজিও সংস্থা আইডিয়া’র অর্থায়নে নির্মিত ড্রেনকে এলজিএসপি’র প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগণের সম্মানি ভাতার প্রায় দুই লাখ টাকাও চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ করেন মেম্বার সাপু আলম, মেম্বার নজমুল হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামছুন্নাহার।
এ ঘটনায় মেম্বার সাপু আলম জানান, আমরা অভিযোগ করেছি। এ নিয়ে সালিশ হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যানদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বজলুর রশীদ জানান, কয়েকদিন পূর্বে মেম্বারদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। তখন তিনি নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়েই কয়েকজন মেম্বার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। বিগত নির্বাচনে কয়েকজন পরাজিত শক্তি একত্রিত হয়ে এ অভিযোগ তুলেন। তিনি বলেন, সব প্রকল্পের চেয়ারম্যান হন ইউপি মেম্বাররা। এখানে ইউপি চেয়ারম্যানের কিছুই করার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া আগেও কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছেন। তারা তদন্ত করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক। অভিযোগে কোনও সত্যতা পাননি বলে তিনি প্রতিবেদন দিয়েছেন। এখন সামনে নির্বাচনকে ঘিরে পরাজিত শক্তিরা আবারও আমার পেছনে লেগেছে।
জেবি
মন্তব্য করুন