‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরকারীদের পাকিস্তানে পাঠানো হবে’
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের নমুনা দেখেই বোঝা যায় এটি মৌলবাদীদের কাজ।গতকাল শুক্রবার রাতের কোনও একসময় কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ভাস্কর্যটির মুখ ও হাতের অংশে ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরটিভি নিউজকে এসব কথা বলেন আজগর আলী।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর আজ শনিবার বিক্ষোভ করেছে জেলা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দরা। শহরকে সৌন্দর্য করার জন্য এখানে ২০০৩ সালে জাতীয় ফুল শাপলার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে পৌরসভা। এরপর থেকে এটি শাপলা চত্বর হিসেবে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পৌরসভায় বর্তমানে শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ শুরু করেছে। সেখানে জাতীয় চার নেতার প্রোট্রেটও থাকবে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ভাঙার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত আরটিভি নিউজকে বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহরের সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে দুর্বৃত্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই বাংলায় মৌলবাদীদের ঠাঁই নাই। ৭১ সালে ওরা এই বাংলাদেশটাকে মানেনি। আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে ওইসব মৌলবাদীদের চিহ্নিত করে একে একে ধরে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যাবে আওয়ামী লীগ।
জেবি
মন্তব্য করুন