`মৌয়াতকালে একটু শান্তি পাইছি’
‘এতকাল অনেক কষ্টে রইছি, মৌয়াত কালে একটু শান্তি পাইছি। এখন দুইডা টাহা পাইলে আর একটু ভালো থাকমু’। ঝালকাঠির রাজাপুরে গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালি গ্রামের অসহায় পঙ্গু বিধবা সাহাবানুর হৃদয়বিদারক সংবাদ মিডিয়ায় দেখে নাভানা গ্রুপের একটি টিম আজ বুধবার সকালে সহায়তা নিয়ে তার বাড়িতে আসলে তিনি তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, নাভানা গ্রুপের এজিএম আফজাল ইবনি নাজিম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক কামাল।
সাহাবানুরের হৃদয়বিদারক সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশের পরে স্থানীয় প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় এক লাখ ২০ হাজার টাকার একটি ঘর তুলে দেন।
ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা তাকে খাদ্য সহায়তা করে আসছেন।
জানা গেছে, ২৫ বছর আগে সাহাবানু ও তার একমাত্র ছেলে শাহজাহানকে রেখে স্বামী ইয়াছিন মারা যান। মারা যাওয়ার সময় বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই রেখে যায়নি তিনি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সাহাবানু নিজে না খেয়েও একমাত্র ছেলেকে বড় করেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করার সময় হোঁচট খেয়ে কোমরে আঘাত পেয়ে আর কোমর (মাজা) সোজা করতে পারেননি। কিন্তু ছেলে বড় হয়ে মাকে বাড়িতে ফেলে রেখে বিয়ে করে আলাদা বাড়িতে থাকেন। মায়ের কোনও খোঁজ-খবর নেন না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হামাগুড়ি দিয়ে চলেন সাহাবানু। অনেক দুঃখে-কষ্টে চলে সাহাবানুর সংসার। বর্তমানে সাহাবানুর বয়স ৭০ বছর।
নাভানা গ্রুপের এজিএম আফজাল ইবনি নাজিম জানান, মিডিয়ায় প্রকাশিত সাহাবানুর হৃদয়বিদাকর সংবাদ দেখে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। এখন থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাহাবুনর সমস্ত দায়িত্ব নাভানা গ্রুপের। সাহাবানুর জন্য নগদ ২৫ হাজার টাকা স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সাহাবানুর যখন যা প্রয়োজন হবে; সবকিছু স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তার কাছে আমরা পৌঁছে দেব।
আরও পড়ুন... আত্মার শান্তি দিতে মাকে খুন করে কষ্ট হচ্ছে ইয়াসিনের
জেবি
মন্তব্য করুন