চাকরির কথায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
রাজবাড়ী সদর উপজেলার আফড়া ইসলামীয়া আলিম মাদরাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীরুল ইসলাম হাসান ও প্রিন্সিপাল মো. এমদাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গেলো শনিবার রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন জেলার সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের চাকরি প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম।
অভিযোগে জানা যায়, গেলো জুন মাসে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার পদে আবেদন করেন মো. শরিফুল ইসলাম। ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও প্রিন্সিপাল শরিফুলের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা দাবি করেন। আলোচনা সাপেক্ষে সাত লাখ টাকা দিতে রাজি হয় চাকরি প্রার্থী শরিফুল। পরে সভাপতির নিজস্ব একাউন্টে দুই লাখ টাকা জমা দেন তিনি।
পরবর্তীতে দুইজন সাক্ষীর মাধ্যমে আরও তিন লাখ টাকা প্রদান করেন তিনি। পরবর্তীতে জানা যায় সভাপতি ও প্রিন্সিপাল অন্যপ্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার সকালে রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. সামসুন্নাহার সরেজমিনে তদন্ত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে টাকা নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল মো. এমদাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। সভাপতির বিরুদ্ধে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগমী চার ডিসেম্বর ওই পদে পরীক্ষা হবে কিনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে।
অভিযুক্ত সভাপতি মো.তানভীরুল ইসলাম হাসান আরটিভি নিউজকে বলেন, ব্যবসার কারণে তার সঙ্গে আমার অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছে। চাকরির কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল এমদাদুল ইসলাম বলেন, টাকা নেওয়া বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেবি
মন্তব্য করুন