• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

১৭৮তম রাস উৎসবের জন্য প্রস্তুত মণিপুরী সম্প্রদায়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১১
Preparation for the event
আয়োজনের প্রস্তুতি

বৃহত্তর সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যতম বিশ্বনন্দিত সাংস্কৃতিক ধারক মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব মহারাসলীলা। সম্পন্ন করা হয়েছে সকল প্রস্তুতি।

করোনাকালীন গোটা বিশ্ব যখন স্তব্ধ হয়ে আছে ঠিক এমন সময়ে ও যেন রাসের সৌন্দর্য মানুষকে মোহিত করে সেই চেষ্টায় মণ্ডপে মণ্ডপে সব কারুকাজ প্রস্তুত রয়েছে।

তবে মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব এবার সীমিত পরিসরে করা হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর থেকে রাখাল নৃত্যের মূর্ছনার মধ্যদিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ও আদমপুরের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৭৮তম উৎসব। এবছর কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড় মণ্ডপে পূর্ণ হচ্ছে ১৭৮তম রাস উৎসব।

মাধবপুরের রাসমেলার আয়োজক হচ্ছে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘ। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায়। সোমবার দুপুরে উৎসস্থল মাধবপুরের শিববাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে হবে গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য।

রাতে জোড়া মণ্ডপে রাসের মূল প্রাণ মহারাসলীলা। তুমুল হৈচৈ, আনন্দ উৎসাহ ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মের অবতার পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখি রাধার লীলাকে ঘিরে এই একটি দিন বছরের আর সব দিন থেকে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে কমলগঞ্জবাসীর জনজীবনে।

১৯৮৬ সাল থেকে কমলগঞ্জের আদমপুরে মণিপুরী মৈতৈ সম্প্রদায় আয়োজন করছে পৃথক রাসমেলার। আদমপুরে পাশাপাশি দুটি স্থানে হবে রাস উৎসব।

আদমপুর জোড়া মণ্ডপ ও মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে। এখানেও থাকবে যথারীতি রাখাল নৃত্য ও রাসলীলা। তবে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ও মণিপুরী মৈতৈ সম্প্রদায় আলাদা স্থানে আয়োজন করলেও উৎসবের অন্তঃস্রোত, রসের কথা, আনন্দ-প্রার্থনা সবই একই। উৎসবের ভেতরের কথা হচ্ছে বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সত্যসুন্দর মানব-প্রেম।

মাধবপুর ও আদমপুরে রাসমেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, মহারাসলীলা মূল উপস্থাপনা শুরু হবে দুপুর থেকে ‘গোষ্ঠলীলা বা রাখাল নৃত্য’ দিয়ে। গোষ্ঠলীলায় রাখাল সাজে কৃষ্ণের বালক বেলাকে উপস্থাপন করা হবে।

এতে থাকবে কৃষ্ণের সখ্য ও বাৎসল্য রসের বিবরণ। গোধূলি পর্যন্ত চলবে রাখাল নৃত্য। রাত ১১টা থেকে পরিবেশিত হবে মধুর রসের নৃত্য বা শ্রী শ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। এই রাসনৃত্য ভোর (ব্রাহ্ম মুহূর্ত) পর্যন্ত চলবে। এই রাসনৃত্যে গোপিনীদের সাথে কৃষ্ণের মধুরলীলাই কথা গানে ও সুরে ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পীরা।

মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ ও আদমপুর মহারাস উদযাপন কমিটির অন্যতম নেতা ইবুংহাল সিংহ শ্যামল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সীমিত পরিসরে ধর্মীয় বিধান মতেই রাসলীলা অনুষ্ঠিত হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক ও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার জন্য দুই জায়গাতেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের তিন স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে মণিপুরী রাসলীলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। লোকসমাগম সীমিত করা হবে।

জিএম/জিএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
সুইডেনের রাজকন্যাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা
জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
X
Fresh