স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মবিরতিতে মুন্সীগঞ্জে টিকাবঞ্চিত অসংখ্য মা ও শিশু
মুন্সীগঞ্জে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের গ্রেড ও নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে জেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা। আজ শনিবার তৃতীয়দিনের মতো সকাল থেকে শহরের পুরাতন কাচারী এলাকার পুরাতন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হেল্থ ইন্সপেক্টর সেক্টরাল অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির উদ্যোগে গত ২৬ নভেম্বর হতে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
তাদের দাবি, তাদের বেতন গ্রেড ১৬ থেকে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নতি কারা। এসময় জেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমিতির প্রধান সমন্বয়ক সেলিম সিকদার, স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ রওশন জামিল, সদর উপজেলা সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ রওশন জামিল জানান, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব মহোদয় দাবি মেনে নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চাই। আমাদের কর্মে ফিরে যেতে চাই। আর তা না হলে এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে এ কর্ম বিরতিতে সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জেও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে অসংখ্য মা ও শিশু সময় মতো টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বাস্থ্যকর্মীদের তাদের গ্রেড ও বেতন ভাতা বৃদ্ধি এটা দীর্ঘদিনের দাবি। এ বিষয়ে উপরমহলে সবাই জানে। ঢাকায় একাধিক মিটিংও হয়েছে। তবে এ আন্দোলন দীর্ঘমেয়াদী হলে এটার প্রভাব পরবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে এমআর ক্যাম্পেইন রয়েছে। হাম-রুবেলার টিকা তারাই দিত। এভাবে চললে টিকার কর্মসূচিতে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এখনও এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পি
মন্তব্য করুন