প্রেমিকার সঙ্গে স্বামী কথা বলায় অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা
নীলফামারীর ডোমারের কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোদাপাড়া গ্রামে তিন সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শনিবার স্বামী তৈয়বুর রহমানকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান। ডোমারের বোদাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের মেয়ে নিলুফা বেগমের (৪০) সঙ্গে একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তৈয়বুর রহমানের (৫০) ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে রয়েছে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দুই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর ১২ বছর বয়সী ছেলে স্বাধীনকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তাদের। ঠিক সেই মুহূর্তে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তৈয়বুর রহমান। প্রেমিকার সঙ্গে লুকিয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে গিয়ে ধরা পরে স্ত্রীর হাতে। সেখান থেকেই শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। গতকাল শুক্রবার রাতে একই ঘরে নিলুফা বেগম, স্বামী তৈয়বুর রহমান ও ছেলে স্বাধীন ঘুমিয়েছিল।
ছেলে স্বাধীন জানান, আজ শনিবার ভোরে পাশের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে বেড়ার ফাঁক দিয়ে দরজা খুলে দেখতে পায় তার মা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। এ সময় সে চিৎকার করে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে চিলাহাটী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়।
চিলাহাটী তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি দ্রুত ডোমার থানাকে জানানো হয়। পরে নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদরন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী তৈয়বুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি।
জেবি
মন্তব্য করুন