সাংসদ লিটন হত্যার আসামিদের রায় কার্যকরের দাবি পরিবারের
বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রয়াত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণার এক বছর পূর্তি হলেও সে রায় এখনও কার্যকর হয়নি।
তবে প্রয়াত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি দ্রুত এ রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের ২০১৯ সালের ২৮ নবেম্বর ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল কাদের খান এবং তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়।
এদিকে আদালত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চন্দন কুমার রায়কে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। যেদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হবে সেদিন থেকেই তার রায় কার্যকর হবে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় আটজনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল কাদের খান। আব্দুল কাদের খানের অস্ত্র দিয়ে পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়কে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করে। একটি অস্ত্র মামলা ও অপরটি হত্যা মামলা। ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলার রায়ে একমাত্র আসামি ওই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আব্দুল কাদের খানকে ২০১৯ সালের ১২ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন