বিয়ে করে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ফেরার পথে বর কনেসহ আটক ৫
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে বর ও কনেসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রসুলপুর ইউনিয়নের বুলবুলের বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।
জানা যায়, উপজেলার বার বাড়িয়া ইউনিয়নের পাকাটি গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে যশরা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসির গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে হয়। কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি স্থানীয় খোদাবক্সপুর ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে জান্নাতুল ফেরদৌসিকে নিয়ে রাতে বাড়ি যাচ্ছিল বরযাত্রীরা। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় হঠাৎ দেখা হয় গফরগাঁও থানা পুলিশের সঙ্গে। বিষয়টি সন্দেহ হলে কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি, বর সোহেল মিয়া, বরের বাবা মোখলেছুর রহমান, বোন আকলিমা বেগম ও সাবিনা খাতুনসহ পাঁচজনকে আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
কনে জান্নাতুল ফেরদৌসি জানান, সে যশরা খোদাবক্সপুর ফজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। করোনাভাইরাসের কারণে লেখাপড়া বন্ধ থাকায় বাবা তাকে বিয়ে দিয়ে ফেলেছে। বিয়েতে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দুই লাখ টাকা যৌতুকের আলাপ আলোচনা হয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার জানান, যশরা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত ২০০৮ সালের জন্মনিবন্ধন সনদ দেখানোর পর বর ও কনেকে তাদের পরিবারে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনও কিছুই জানি না। এছাড়া আমি এ ধরনের কোনও জন্ম সনদও দেইনি।
এ বিষয়ে গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা খাতুন জানান, উপজেলার রসুলপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তারের জন্য রাতে পুলিশি অভিযান ছিল। রাস্তায় গাড়ি দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। গাড়ি থামিয়ে দেখি একটি অল্পবয়সী মেয়েকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে বরপক্ষ। তখন তাদের থানায় নিয়ে আসি।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন