ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার এক, কারখানা সিলগালা
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার পুরাতন কালুরঘাটের তারানন্দ যুগীআশ্রমের কালি মন্দিরের সামনে বেলালের বিল্ডিংয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে ভেজাল ওষুধ তৈরির কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নামিদামি কোম্পানির ওষুধের নাম ব্যবহার করত এবং সেগুলো ভেজালভাবে প্রস্তুত করে উচ্চ দামে বাজারজাত করে আসছে। তিনি বলেন, ওষুধ তৈরিতে বিভিন্ন নিম্নমানের কেমিক্যাল ব্যবহার করতো। কারিহো ল্যাবরেটরিজ নাম দিয়ে ওষুধগুলো বাজারে বিক্রি করতো মোহাম্মদ হোসেন।
আলী হোসেন আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। হোসেন প্রায় তিন বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসতেছিল। kho max, Excitement, monfedin, max-life সহ বিভিন্ন নাম দিয়ে ওষুধগুলো বাজারে বিক্রি করতো। এ ঘটনার সাথে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও জানান, এসব নকল ওষুধ খেলে মানুষের স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। কালুরঘাটের বেলালের বিল্ডিং এর দ্বিতীয়তলার কারখানাটি ছিল। এখানে এসে ব্যবসা করছিলেন ছয় মাস ধরে। আগে অন্য স্থান থেকে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করতো। গ্রেপ্তার আসামি হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে দেশে যৌন উত্তেজক ওষুধের চাহিদা বেশি থাকায় বিভিন্ন ওষুধের নাম ব্যবহার করে অধিক দামে বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছিল।
পি
মন্তব্য করুন