নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় পাইলট দম্পতি কারাগারে
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও পিএইচপি গ্রুপের পাইলট শফিকুল আলম ও তার স্ত্রী শামীমা খান পলিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এ মামলার প্রধান আসামি শফিকুল আলম দম্পতির ছেলে যোহেব আলম এখনও পলাতক রয়েছেন।
এক সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আদালতে তিন আসামি স্বামী-স্ত্রী আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন চান। বিজ্ঞ আদালত জামিন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়েকে বিয়ে করেন পল্লবী থানার মিরপুর এলাকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও পিএইচপি গ্রুপের পাইলট শফিকুল আলমের ছেলে যোহেব আলম। কিছুদিন যেতে না যেতেই ১০ ভরি স্বর্ণ, একটি হীরা আংটিসহ উপহার সামগ্রী আত্মসাৎ করে মারধর করতে থাকেন স্বামী যোহেব আলম, শশুড় শফিকুল আলম ও শাশুড়ি শামীমা খান পলি। বেশ কিছুদিন সহ্য করেন নববধূ। দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে স্বামী, শ্বশুড়-শাশুড়ির বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
প্রায় তিন বছর মামলা প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত স্বামী যোহেব আলম, তার বাবা শফিকুল আলম ও মা শামীমা খান পলির বিরুদ্ধে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেন।টাকা অনাদায়ে আরও ৯ মাস কারাদণ্ডের আদেশ বিজ্ঞ আদালত। এ রায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর দেয়া হলেও আসামিরা পলাতক ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে শফিকুল আলম ও স্ত্রী শামিমা খান পলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
জেবি/এম
মন্তব্য করুন