দরজা বন্ধ করতেই অজ্ঞান হওয়া নারী রক্ষা পেলো ধর্ষণ থেকে
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে কামরুজ্জামান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলার চার ঘণ্টা পর সোমবার ভোরে অভিযুক্তকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তিনি উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভালাতৈড় (ফাটকিপাড়া) গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ (২০) দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকেন। গেলো ১১ অক্টোবর বাড়ির পাশে মাঠে হাঁস খুঁজতে যাওয়ার সময় কামরুজ্জামান গৃহবধূকে জোর করে সেচপাম্পের ঘরে ঢুকায়। মুখে গামছা চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করলে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। কামরুজ্জামান তাকে ঘরের ভেতরে রেখে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
পরে গৃহবধূর জ্ঞান ফিরে দেখেন ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকানো। গৃহবধূর চিৎকার শুনে তার জা ও প্রতিবেশীরা তাকে ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে। কামরুজ্জামান দীর্ঘদিন থেকে ওই সেচপাম্প দিয়ে জমিতে পানি সেচ করে আসছেন।
ঘটনার পর কামরুজ্জামান বিভিন্ন ভাবে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় যেতে না পরে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য নেতাদের পিছে ঘুরতে থাকে। কোথাও কোনও বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ আসামি কামরুজ্জমানকে গ্রেপ্তার করে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির আরটিভি নিউজকে বলেন, রোববার রাত ১২ টায় গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ভোর চারটায় কামরুজ্জামানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জেবি
মন্তব্য করুন