• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আবাসন সংকটে পানিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

  ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১১:৪০
Officials and employees, of the water resources, rtv news
এমনই জরাজীর্ণ ভবনে বাস করছেন গোপালগঞ্জের পানিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

আবাসন সংকটে ভুগছেন গোপালগঞ্জের পানিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আবাসনের জন্য এ বিভাগের অধীনে যেসব কোয়ার্টার রয়েছে সবগুলোরই মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে।

দীর্ঘদিনের পুরোনো এ বাসাগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সময়ের বিবর্তনে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের স্টাফদের সরকারি বাসভবনগুলোর চিত্র পাল্টালেও এ দপ্তরটির চিত্র একটুও পাল্টায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়েই কোনোরকমভাবে তারা বসবাস করছেন।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে অবিভক্ত বাংলার নৌপথের উন্নয়নে কোলকাতা থেকে আসাম পর্যন্ত গ্রান্ট ট্রাংক ক্যানেল প্রকল্প হাতে নেয় তৎকালীন বেঙ্গল সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় ১৮৯৮ সালে মাদারীপুরে কুমার নদ থেকে গোপালগঞ্জের সিন্দিয়াঘাট হয়ে হরিদাসপুর পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার নৌপথ এমবিআর চ্যানেল (মাদারীপুর বিলরুট চ্যানেল) খনন কাজ শুরু করে। খনন কাজ শেষ হয় ১৯০৮ সালে। সে সময় এ দপ্তরটি ইরিগেশন ডিপার্টমেন্ট নামে পরিচিত ছিল। এ চ্যানেলটির সুবাদেই কলকাতা থেকে আসাম পর্যন্ত নৌ-পথের দূরত্ব কমপক্ষে আড়াইশ’ কিলোমিটার কমে যায়।

ইরিগেশনের সুবিধার্থে ১৯৬০ সালে গোপালগঞ্জে সাব-ডিভিশন অফিস করা হয়। তখন এসডিওর জন্য একতলা ভবনসহ কয়েকটি টিনসেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে সাব-ডিভিশন থেকে ডিভিশনে উন্নীত হলে এসডিওর বাসাটিকেই নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবন করা হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গোপালগঞ্জের পানিসম্পদ বিভাগে আবাসন-ব্যবস্থার উন্নতির জন্য আর কোনও নতুন অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি।

গোপালগঞ্জ পানি-সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলাকে তিনটি সাব-ডিভিশন ভাগ করে দপ্তরের কাজকর্ম চলছে। এজন্য তিনজন এসডিই আছেন। ১৩টি এসওর পদ থাকলেও রয়েছেন ৯ জন। তাদের জন্য নেই কোনও সরকারি আবাসন ব্যবস্থা। পুরোনো একটি টিনশেড সংস্কার করে তারা কোনোরকমভাবে চালিয়ে নিচ্ছেন। অফিস প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেই ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন জরাজীর্ণ ভবনে। একটি পরিদর্শন বাংলো থাকলেও নেই কোনও অফিসার্স-ডরমেটরি বা স্টাফ-ডরমেটরি। কাশিয়ানী সাব-ডিবিশনে ১০ কাঠা জমি রয়েছে; যেটি ১৫ বছর মামলা চলার পর নিষ্পত্তি হয়েছে। সেখানে অফিসসহ আনুষঙ্গিক ভবন নির্মাণের জন্য ডিপিপিতে ধরা আছে। পাশ হলে সেগুলো করা হবে। কোটালীপাড়ায় সাব-ডিবিশনে একটি সেকশন অফিস-কাম-বাসা রয়েছে। যা ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।

গোপালগঞ্জ পানিসম্পদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী আরটিভি নিউজকে জানান, গোপালগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ বিভাগটি অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। স্টাফদের জন্য পুরোনো যে আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে; সেগুলো একেবারেই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া বিভাগটির দাপ্তরিক কাজকর্ম আরও গতিশীল করতে আবাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
‘হিজড়াদের আবাসন সমস্যা সমাধানে জমি খুঁজছে সরকার’
রাবির ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আবাসন ব্যবসা বন্ধের দাবি
উন্নত আবাসন পাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী : গণপূর্তমন্ত্রী
X
Fresh