কালিয়াকৈরে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এলাকার কয়েকজন মাতব্বর ওই শিশুর পরিবারকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গেলো মঙ্গলবার উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায়। ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালী ওই মাতাব্বররা ধর্ষক এরশাদ মিয়াকে ছাড়িয়েও নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরের রাখালিয়াচালা এলাকার জুয়েল মিয়ার শিশু কন্যা গেলো মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় যাওয়ার পথে এরশাদ মিয়া (২৫) নামের এক যুবক ওই শিশু কন্যার পথরোধ করে। পরে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই শিশুর চিৎকারে তার মা-বাবা এগিয়ে এসে অভিযুক্ত এরশাদ মিয়াকে ধরে গালিগালাজ করে।
পরে বিষয়টি স্থানীয় ইকবাল মিয়া, লালন, মিলনসহ কয়েকজন মাতাব্বর শ্রেণির লোক অভিযুক্ত এরশাদ মিয়াকে ওই শিশুর পরিবারের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। এ সময় বাধা দিলে ইকবাল, মিলন, লালনরা ওই শিশুর বাবা-মাকে মারধর করে আহত করে। পরে তারা অভিযুক্ত এরশাদকে জোর করে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় মাতব্বর সাদ্দাম হোসেন, নজরুল ইসলামসহ গ্রাম আওয়ামী লীগ কমিটির লোকজন বিষয়টি মীমাংসার করার দায়িত্ব দেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। মীমাংশার আশ্বাস দিয়েও ওই মাতব্বররা তালবাহানা করায় শনিবার দুপুরে মেয়ের মা (মালা বেগম) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই শিশুর মা জানান, আমার শিশু মেয়ে মাদরাসায় যাওয়ার পথে এরশাদ নামের ওই যুবক তার শরীরে হাত দেয়। পরে তার ডাকচিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে এসে লম্পটকে জিজ্ঞাসা করি। এ সময় আমার স্বামী এসে এর প্রতিবাদ করায় এলাকার কয়েকজন আমার স্বামীসহ আমাকে বেদম মারপিট করে। পরে এরশাদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর অভিযুক্ত এরশাদকে ডেকে জিজ্ঞাসা করার সময় ওই শিশুর বাবা এসে এরশাদকে মারপিট করায় ওই শিশুর পরিবারকে শাসন করা হয়েছে। তাদের মারপিট করা হয়নি। তাছাড়া বিষয়টি পরে বসে এলাকায় নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেনসহ কয়েকজন মীমাংসা করার কথা রয়েছে। এছাড়া এরশাদকে জোর করে আমি নিয়ে যাইনি। এলাকার কামাল ভাই মোটরসাইকলে দিয়ে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে রাখালিয়াচালা আওয়ামী লীগ গ্রাম কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ মধু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এর বেশিকিছু জানি না। তবে বিষয়টি নাকি আজকে বৃহস্পতিবার মীমাংসা করার কথা রয়েছে। মীমাংশা করছে কিনা আমার জানা নেই।
কালিয়াকৈর থানার (তদন্ত ওসি) রাজিব চক্রবর্তী জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন