যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, মামলার আসামি শিক্ষা অফিসার
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গণধর্ষণ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে আসামি করা হয়েছে নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ চৌকিদারকে (৩৫)। কিন্তু সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াদুদ চৌকিদার গণধর্ষণ মামলার আসামি হয়েও সপদে বহাল রয়েছেন।
গণধর্ষণ মামলার আসামিরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছে, গণধর্ষণের আসামীরা এতো দ্রুত কিভাবে জামিনে বের হয়? অভিযুক্তরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চর খোয়াজপুর গ্রামের শাহ জাহান মৃধার ছেলে ইমরান হোসেন ইমন (২৭), শাহদাত মৃধা (৩৫) ও কালাচান চৌকিদারের ছেলে ওয়াদুদ চৌকিদার (৩৫)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই যুবতী তার ভাগ্নির বাসা মাদারীপুর থেকে অটোরিকসা দিয়ে নিজ বাসা শরীয়তপুরে আসছিলেন। শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের পাকা সড়কে পূর্বে ওঁত পেতে থাকেন ইমরান, শাহদাতসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন। হঠাৎ তারা জোরপূর্বক অটোরিকসা থেকে নামিয়ে মুখ চেপে কাশিপুর গ্রামের মো. নুরু শিকদার তার ভাইয়ের পরিত্যক্ত বাথরুমে নিয়ে যায়। পরে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইমরান, শাহদাত ও নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াদুদসহ অজ্ঞাত ৫/৬ কে আসামী করে ওই যুবতী পালং মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার আসামীরা দুই সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বের হয়ে যায়।
ওই যুবতী জানান, হঠাৎ অটোরিকসা থেকে নামিয়ে তাকে মুখ চেপে পরিত্যক্ত একটি বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানে ৫/৬ জন মিলে তার সাথে খারাপ কাজ করে। সেদিন তিনি মাদারীপুর জেলার চরমগুরিয়া শাখা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। ব্যাগে থাকা সেই টাকা নিয়ে যায় ইমরান, শাহদাত ও ওয়াদুদরা।
অভিযুক্ত নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াদুদ চৌকিদার মুঠোফোনে বলেন, সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় আমি জামিনে আছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, নড়িয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ওয়াদুদ চৌকিদারের বিরুদ্ধে একটি গণধর্ষণ মামলা হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানার ওসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ঘটনার সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানাবো।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ওই মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর (গত ১৯ সেপ্টেম্বর) দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। মামলাটি তদন্তনাধীন চলছে।
জিএ
মন্তব্য করুন