• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

১৫ বিঘা বনভূমি দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৯ নভেম্বর ২০২০, ২০:২১
১৫ বিঘা বনভূমি দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
১৫ বিঘা বনভূমি দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বনের ১৫ বিঘা জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মান্নান নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, আব্দুল মান্নান সংগ্রামপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বন বিভাগের লাগানো গাছ কেটে তিনি হলুদ লেবু ও অন্যান্য গাছ লাগিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া রেঞ্জের বটতলী বিটের অধীনে বন বিভাগের জমি রয়েছে প্রায় ছয় হাজার একর। নিয়ম অনুসারে দশ বছর মেয়াদে বাগান করে বন বিভাগ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে লাগানো সামাজিক বনায়নের গাছ মেয়াদ শেষে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে বন বিভাগ। নতুন করে গত বছর আবার বাগান করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বটতলী বিটের অধীনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমে ২০১০ দাগে সামাজিক বনায়নের তিনটি প্লট ছিল। তিনটি প্লটে জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিঘা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে সৃজন করা বাগানে উপকারভোগী ছিলেন উপজেলার খাগরাটা গ্রামের আওয়াল, বাবলু ও সোফিয়া।

বড় প্লট হওয়ায় গেল বছর নতুন করে বাগান সৃজনের সময় ভেঙে আওয়াল, বাবলুসহ আরও চারজনের নামে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে বন বিভাগ। যথাসময়ে গাছের চারা লাগিয়ে প্লটের দলিল হস্তান্তর করেন ওই বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা। কিন্তু কিছুদিন পরই বন বিভাগের লাগানো গাছের চারা কেটে ফেলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ও তার ভাই শহিদুল ইসলাম। ওই জমি জবরদখল করে চারদিকে বেড়া দিয়ে আটকে দেন। দখল করা জমিতে নিজের মতো করে হলুদ চাষ লেবু বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছ লাগিয়ে রেখেছেন ওই ইউপি সদস্য।

উপকারভোগীদের অভিযোগ, রেঞ্জ কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্য রয়েছে মান্নানের। তিনি ইউপি সদস্য। তাই তার ক্ষমতা অনেক। তার বিরুদ্ধে মুখখোলা বারণ।

উপকারভোগী আওয়াল বলেন, ওই ১৫ বিঘা জমির মধ্যে আমার নামেও প্লট আছে। কিন্তু মেম্বার তার দখলে নিয়ে বন বিভাগের লাগানো গাছ কেটে নিজের ইচ্ছামতো গাছ লাগিয়েছেন। রেঞ্জ অফিসে গেলে অফিসার আমার সঙ্গে কথা বলেন না। আমি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছেও গিয়েছি। তিনিও কথা বলেন না।

জবরদখলের বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, আমি সরকারি কোনও জমি দখল করিনি। বনের গাছের ফাঁকে ফাঁকে হলুদ ও লেবুগাছ লাগানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম হাবিবুল্লাহ বলেন, অনেকেই তো অনেক জমি দখল করে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিএম/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh