হাতিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আটটি ইঞ্জিনের মধ্যে ৬টি বিকল
দক্ষ ইঞ্জিন চালক নেই ১২ বছর। ইঞ্জিন চালকের সহকারী (পিডার-বি) দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। এদিকে আটটি ইঞ্জিনের মধ্যে পাঁচটি তিন বছর পূর্বে বিকল হয়। আবার ২০১৮ সালে নতুন স্থাপন করা তিনটির মধ্যে একটি সম্প্রতি বিকল হওয়ায় চরম দুর্ভোগে প্রায় তিন হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক।
নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির বর্তমান অবস্থা এটি।
হাতিয়া বিদ্যুৎ অফিসের সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে পাঁচটি জেনারেটর ইঞ্জিন দিয়ে চালু হয় হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কার্যক্রম। বিভিন্ন সময় মেরামত করে চলমান রাখা এই পাঁচটি ইঞ্জিন তিন বছর আগে বিকল হয়ে পড়লে তা আর মেরামত করা হয়নি।
বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৮ সালে ২৩ মার্চ নতুন তিনটি ইঞ্জিন সংযোজন করে এই উৎপাদন কেন্দ্রটি আবার সচল করা হয়। এই তিনটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি এক মেগাওয়াট ও অন্য দুটি চারশ’ কিলোওয়াট করে আটশত কিলোওয়াটের ক্ষমতাসম্পন্ন। নিয়মানুযায়ী নতুন প্রতিটি ইঞ্জিন পাঁচ হাজার ঘণ্টা চালু রাখার পর মেরামত করার কথা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে তা মেরামত করা হয়নি।এছাড়া হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ২০টি পদের মধ্যে ইঞ্জিন চালকসহ ১২টি পদ দীর্ঘদিন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর রাতে হঠাৎ নতুন সংযোজন করা তিনটি ইঞ্জিনের মধ্যে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে পড়ে। যার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল এক হাজার কিলোওয়াট। যার ফলে হাতিয়ার প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদার সামন্যটুকুও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার কথা থাকলেও এখন ১-২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ কোথাও দেওয়া যাচ্ছে না। গেলো এক সপ্তাহ ধরে হাতিয়ায় লোডসেডিংয়ে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওয়ার্কসপ, চাইনিজ হোটেল, অফিস আদালত ও বাসা বাড়িতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান আরটিভি নিউজকে জানান, বর্তমানে বিকল ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।আসা করি আগামী সপ্তাহে মেরামতের কাজ শুরু করতে পারব।
জেবি
মন্তব্য করুন