• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সবজির দাম লাগামহীন, অসহায় নিম্নআয়ের মানুষ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৯
The prices of essential vegetables, are rampant, rtv news
ফাইল ছবি

শরীয়তপুর গোসাইরহাটে শীতের আগাম সবজি বাজারে আসলেও প্রতিদিন দাম বাড়ছে।এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। ৬০-৭০ টাকা কেজি দরের নিচে মিলছে না কোনও সবজি। শরীয়তপুরের প্রত্যেকটি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেগুন ৬৫-৭০ টাকা, পটল, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক ৫০-৬০ টাকা কেজি, করলা ৭০ টাকা, কপি ৬০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।

উপজেলার গোসাইরহাট বাজার থেকে গ্রাম পর্যায়ের সব হাট বাজারগুলোতে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সরকারের বেঁধে দেয়া আলুর দাম ৩৫ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দাম লাগামহীন।

হাটুরিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোক্তার মৃধা বলেন, এবার আমাদের এলাকায় দফায় দফায় বন্যা আর অতি বৃষ্টিপাতে চরাঞ্চলের সব ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল, তাই সবজির আবাদ কম হওয়ায় বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এদিকে নাগেরপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. মানিক হোসেন বলেন, পরপর বন্যার কারণে সবজির আমদানি কম, কৃষকদের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেশি৷ সামনে কয়েকদিন পরে শীতের সবজি নামলে দাম কমে আসবে।

এদিকে এখনও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁঝ। এখনও ৮৫ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে৷ এখনও ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

উপজেলার মো. মনির হোসেন একজন পেশায় ভ্যানচালক। তিনি বলেন, বাজারে সব চাইতে কাঁচা তরকারিগুলোর দাম বেশি। ভ্যান চালিয়ে সবজি কেনে ছেলে-মেয়ে নিয়ে চলতে কষ্ট হয়৷

বাজারে সবজি কিনতে আসা রুহুল আমিন পেশায় একজন সাধারণ কর্মচারী। তিনি বলেন, এমনিতেই করোনাকালীন সময়ে অনেক কষ্টে আছি। তারপর মরার ওপর খাড়ার ঘা। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষদের এতো দাম দিয়ে সবজি খাওয়া সম্ভব নয়। বাজারে সকল সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ালে হয়তো একটু দাম সহনীয় মাত্রায় আসতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন আরটিভি নিউজকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যদি সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রজতজয়ন্তী মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজ
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
‘রেকর্ড স্টোর ডে’তে এবারও বিশেষ আয়োজন
ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত, ঘরছাড়া ১১ হাজার মানুষ
X
Fresh