• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

পা-বেঁধে রেখে ১০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে লালন-পালন (ভিডিও)

দীপ্ত চন্দ্র পাল, আরটিভি নিউজ

  ২৮ অক্টোবর ২০২০, ২২:৩৬
Gaibandha,
১০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু

দিনে গাছের সঙ্গে বেঁধে আর রাতে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বিছানার সঙ্গে হাত পা-বেঁধে রেখে ১০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে লালন-পালন করছে গাইবান্ধার ফুলছড়ির এক পরিবার। অর্থের অভাবে শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে পারছে না তারা। শিশুটির স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছে পরিবারটি।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও নাছরিন বেগম দম্পতির ১০ বছরের ছেলে নিরব। এ বয়সে তার মাঠে খেলাধুলা করার কথা থাকলেও তার শৈশব কাটছে বন্দি অবস্থায়।

জন্মের দু’দিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নিরব। প্রথমে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তারা জানতে পারেন মস্তিষ্কের সমস্যার কথা।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, নিরবের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে আমাদের জায়গা জমি সব চলে গেছে। এখন চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা নেই আমাদের। তবে এখন তারা আশায় আছেন যদি সরকারি বা কোনো ব্যক্তি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তাহলের আবার সুস্থ হতে পারে নিরব।

এখনই সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হলে অসুস্থতা আরও বাড়বে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

রংপুর বিভাগ সাবেক পরিচালক(স্বাস্থ্য) ডা. অমল চন্দ্র সাহা বলেন, এভাবে যদি তাকে চিকিৎসা দেওয়া চলতে থাকে তাহলে তার অবস্থা ধীরে ধীরে আরও খারাপের দিকে যাবে। খুব শীঘ্রই তাকে একজন মানসিক চিকিৎসকের দায়িত্বে সুস্থ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন জানান, যেহেতু ওর চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন দুইটাই দরকার সেহেতু তার পরিবার এবং শারীরিক অবস্থা যদি পারমিট করে তাহলে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে দেওয়ার চিন্তা করছি।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা সরকারি সংস্থার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে নিরব ফিরে পাবে তার শৈশব এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
জাহাজ ছিনতাইয়ে শিশুদের কাজে লাগাচ্ছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা
হাবিপ্রবিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
X
Fresh