• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আরও ৫ দিনের রিমান্ডে ওসি প্রদীপের সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মা (ভিডিও)

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৩:২৭

মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘প্রধান’ সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মার আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুবেল শর্মার দ্বিতীয় দফায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আট দিনের রিমান্ড করেছিলেন।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে সাত দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিল রুবেল শর্মাকে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু আরও তথ্য পাওয়ার জন্য আরও রিমান্ড প্রয়োজন। তাই ফের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত দ্বিতীয় দফায় তার আরও পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

তথ্য মতে, সিনহা হত্যা মামলা ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হয় রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। কথিত আছে-সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মা কারাগারে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার আইও র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৩ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ

সিনহা হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ নভেম্বর (ভিডিও)

মেজর সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে: র‌্যাব ডিজি (ভিডিও)

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলাটি করেন। পরে আরও পাঁচ জনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh