নড়াইলে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা, আটক ৩
নড়াইল সদরের বেনাহাটি গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক অরুণ কুমার রায়কে (৭২) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির তিন কেয়ারটেকারকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- বিপুল বিশ্বাস, বিধান রায় ও অরবিন্দ দাস। হত্যার ঘটনা তদন্তে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে তদন্তে নেমেছে পিবিআই, সিআইডি ও র্যাব।
এদিকে শনিবার (২৪ অক্টোবর) ময়নাতদন্ত শেষে দুপরে নিহতের বাড়ি বেনাহাটিতে মরদেহ পৌছালে এই শিক্ষককে একনজর দেখতে এলাকার শতশত লোক ভিড় করে।
স্বজনেরা জানান, তাঁর স্ত্রী নিভা রানী পাঠক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) খুলনার উপপরিচালক। দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ইন্দ্রজিৎ রায় রবি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ও মেয়ে ইন্দ্রিরা রায় ডাক্তার। ৩ জন কেয়ারটেকার নিয়ে অরুণ কুমার রায় বাড়িতে একাই থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে এসে কলাপসিবল গেটের কলিং বেল চেপে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বাসায় ঢুকে দোতলায় বাবার বসতঘরে গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
খুলনার বটিয়াঘাটা সরকারি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন অরুণ রায়। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে স্ত্রী নিভা পাঠকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের পর অরুণ কুমার রায়ের মোবাইল বন্ধ পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ছেলে ও স্ত্রী বাড়িতে এসে কোন সাড়াশব্দ পাননি। পরে দোতলায় উঠে বাবার বসতঘরে গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
খুন হওয়া অরুণ কুমার রায় এর স্ত্রী নিভা রানী পাঠক স্বামী হত্যার ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন নিরীহ লোক। এলাকায় তার কোনো শত্রু থাকতে পারে না। কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করলো তার বিচার তো চাইতেই হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ ইমরান জানান, ঘটনাটি একটি আননোন মার্ডার। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতাবশত কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। পুলিশ ছাড়াও পুলিশের অন্যন্যা ইউনিট সিইডি, পিবিআই নানা ধরনের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত কাজ করছে।
পি
মন্তব্য করুন