বাগেরহাটে ডুবে গেছে ৮ হাজার চিংড়ি ঘের
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটে আজ শনিবার পর্যন্ত তিন দিন ধরে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শরণখোলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নেই ৪০টি গ্রাম এখন পানি নিচে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধ লক্ষাধিক পরিবার। হাজার হাজার পরিবারের বসতঘরের মধ্যে হাঁটু পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শরণখোলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪টি স্থানে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে সরকারি খাদ্য গুদাম। এদিকে জেলার মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোংলা উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে আরও ৪০ হাজার পরিবার। এসব এলাকার বাড়ির উপরে পানি ওঠায় ঘরে অনেকেই রান্না করতে পারছেন না। অসময়ে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো অবর্ণনীয় দুর্দশায় পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার ২০ হেক্টর শীতকালিন বিভিন্ন সবজি ও পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার ৮ হাজার চিংড়ি ঘের ও পুকুর ডুবে গেছে প্রথমিক ভাবে জানাগেছে। উপজেলাগুলো থেকে তালিকা পাঠাবার পর এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ
সাভারে রাবি শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড, রাবিতে বিক্ষোভ
‘রায়হানের পা উঁচু করে কনস্টেবল হারুন, এসআই আকবর আঘাত করে’
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখেছি। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল স্লুইস গেট খুলে দেয়ার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এস্কাভেটর মেশিন দিয়ে বাঁধ কেটে সরকারী খাদ্য গুদামের পানি সরানোর কাজ চলছে। বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলমান রয়েছে।
পি
মন্তব্য করুন