• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে অভিযান

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৩ অক্টোবর ২০২০, ২০:৪৩
Campaign to take shelter of the risky inhabitants of the hills
পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে অভিযান

ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা থেকে লোকজনকে নিরপদ আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। কমিটির সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের নির্দেশনায় আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগরীর অভ্যন্তরে ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পাহাড় ও বায়েজিদ ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় নতুন ঝুঁকিপূর্ণ ১৬টি পাহাড়ে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

দুপুর থেকে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে অভিযান পরিচালনা করেন। আকবর শাহ থানাধীন ফিরোজ শাহ এলাকাস্থ ঝিল এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, কাট্টলী সার্কেলাধীন ফয়েজ লেক সংলগ্ন ঝিল-১, ২ ও ৩ নং এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বসতি থেকে ১০০টির মতো পরিবারকে অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় আকবর শাহ থানা পুলিশের টিম অভিযানে উপস্থিত ছিল। অপসারণকৃত পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবারকে ফিরোজ শাহ পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফয়েজ লেক ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ৩৩৬ একরের মতো জায়গা কনকর্ড গ্রুপকে রেলওয়ে বিনোদনপার্ক হিসেবে ব্যবহারের জন্য লিজ দিয়েছিল। ২০১৭ সালে রেলওয়ে কনকর্ড গ্রুপের সাথে লিজ বাতিল করে। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে কনকর্ড গ্রুপ। ঐ রিটে হাইকোর্ট স্থিতিবস্থা জারি করে। এরপর ফয়েজ লেক এলাকার চারদিকের পাহাড়ি জমিতে স্থানীয়রা অপদখল চালায়। লিজ গ্রহীতা কনকর্ড গ্রুপ ও রেলওয়ের নজরদারির ঘাটতিতে ঝিল এলাকায় পাহাড়ি জমি কেটে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা গড়ে তোলে স্থানীয়রা।

উচ্চ আদালতে রিটটি এখনও অনিষ্পন্ন থাকায় রেলওয়ে কিংবা কনকর্ড গ্রুপের পক্ষ থেকে সময়োচিত পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে না। ঝিল এলাকায় বিভিন্ন স্বনামধন্য এনজিও কাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়েই এনজিওর অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা প্রকল্প। নির্মাণ করা হয়েছে ঘর, স্কুল, স্যানিটারি টয়লেট। স্থানীয়রা জানায়, ঝিল এলাকায় জাইকার অর্থায়নে ওয়াসার পক্ষ থেকে সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে লালখান বাজারস্থ মতিঝর্ণা-বাটালি হিল এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে অপসারণ করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হাসান এবং আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুস সামাদ শিকদার।

লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ের জন্য জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ত্রাণ হিসেবে শুকনা খাবার ও খাদ্যসামগ্রী দেয়া হচ্ছে।

চাঁন্দগাও সার্কেলাধীন পাহাড়ি এলাকা রউফাবাদ, আমিন জুট মিলস এলাকা, ট্যাংকির পাহাড়, বন গবেষণা ইন্সটিটিউট সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২৭
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১৯
সেনা অভিযানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার 
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
X
Fresh