বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ ২ জন কারাগারে
পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
২০১৭ সালে বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী হয়ে আবেদন করেন বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের ছেলে রাজু।
এ নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজুর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু।
পরে এ জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বরগুনা সদর থানায় কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক শামীম রেজা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের সময় এ জালিয়াতির টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের তথ্য পায় পুলিশ। পরবর্তীতে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র রইসুল আলম রিপনের কাছে জমা থাকা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন বরগুনার সিআইডি ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম। এ মামলায় জামিনে থাকা রইসুল আলম রিপন এবং রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুর জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন আরাফাতের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু তাদের জামিন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আসামিরা নির্দোষ। অন্যায়ভাবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। তাদের জামিনের জন্য পুনরায় আবেদন করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন