নরসিংদীতে ফের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ২
নরসিংদী পৌর শহরের চৌয়ালা বালুর মাঠে ফের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। আজ শুক্রবার দুপুরে গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী নরসিংদী সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মনিরসহ অজ্ঞাত আরও তিনকে আসামি করা হয়। আজ সন্ধ্যায় অভিযোক্ত আসামী মনির ও মোঃ হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের চৌয়ালা বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়।
গত তিনদিন আগে শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকায় স্পিনিং মিলের ১৬ বছরের এক কিশোরী শ্রমিককে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার শহরের চৌয়ালা এলাকায় স্পিনিং মিলের আরেক কিশোরী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতিতা ওই কিশোরী ও তার স্বজনরা জানান, পরিবারের সাথে পৌর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত ওই কিশোরী। এখানে থেকে স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে কাজ করতেন এই কিশোরী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শুকনো খাবার কেনার জন্য মিলের বাইরে বের হয় সে। এ সময় পূর্বপরিচিত ইয়ামিন নামে এক ছেলের সাথে আলাপচারিতার সময় চৌয়ালা এলাকার মৃত ওয়ারেশ আলীর ছেলে মনিরসহ আরও তিন অজ্ঞাত যুবক ইয়ামিনকে মারধর করে। এতে ইয়ামিনকে আহত করে কিশোরীকে পাশের বালুর মাঠের একটি খোলা জায়গায় নিয়ে যায় মনিরসহ তিন অজ্ঞাতরা। পরে সেখানে পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে মনিরসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনেরে বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আইনি কার্যক্রম চলছে। এ ব্যাপারে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ওই ভিকটিম কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পি
মন্তব্য করুন