কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মাহবুবুর রহমানের মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মাহবুবুর রহমান টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার রাইনহাটি এলাকার মৃত আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর রহমান। আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার ভোরে তার অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কারাগারে তার কয়েদি নম্বর- ছিলো ৪৪১২/এ। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি এই কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মুক্তিযদ্ধের সময় রণদা প্রসাদ সাহা (আরপি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকাণ্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে গেলো বছরের ২৭ জুন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৭ সালের দুই নভেম্বর তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এ মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় মাহবুবুর রহমান টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশ এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করে বলেও জানান আব্দুল হান্নান খান।
একসময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যান্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
জেবি
মন্তব্য করুন