‘আনোয়ার তো আমাকে ধর্ষণ করেনি, আমি কেন জরিমানার টাকা নেব’?
আরটিভি অনলাইনে নিউজ প্রচারের পর কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে পড়লে বুধবার বিকালে পুলিশ ওই নারী ও তার ভাইকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসে। ওই নারী জবানবন্দিতে পশু চিকিৎসক আনোয়ারকে বিয়ে করার কথা বলেন। পুলিশের সহযোগিতায় ও গ্রাম্য মাতাব্বররা মিলে সাত লাখ টাকার কাবিন করে অবশেষে ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে পড়িয়ে দেন।
গেলো শুক্রবার রাতে এলাকাবাসী ওই নারীর ঘরের ভেতর থেকে আটক করে ধর্ষণ চেষ্টাকারী আনোয়ারকে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য গফুর, মোস্তফা, আজহার, সাকাওয়াতসহ আরও কয়েকজন মিলে গেলো শনিবার দিনব্যাপী গ্রাম্য শালিস করে আনোয়ার হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও ওই নারীকে শারীরিকভাবে মারধরসহ বিচারে কানধরে উঠবস করেন।
ধর্ষণচেষ্টার শিকার হওয়া ওই নারী আরটিভি নিউজকে জানান, যেহেতু ঘটনাটি সত্য নয়। আমাকে আনোয়ার ধর্ষণ করেনি। তা হলে আমি জরিমানার টাকা নেব কেন? গফুর মেম্বারসহ মাতাব্বরগন আমার কোনও কথা না শুনেই আমার মান ইজ্জত নষ্ট করার জন্য আনোরয়ারকে দোষী সাবস্থ্য করে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ আমাকে মারপিট এবং কান ধরে উঠবস করেন। এছাড়া ওই নারী জানান, যেহেতু ইউপি সদস্য গফুর, মোস্তফা, আজহার মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমার মান-ইজ্জত নষ্ট করেছে তাই আমি আনোয়ারকে বিয়ে করতে রাজি।
ওই নারীর প্রস্তাবে মাতাব্বরগণ রাজি না হলে তিনি বিষয়টি আরটিভি স্থানীয় প্রতিনিধির সহযোগিতা কামনা করেন। ঘটনাটি আরটিভি নিউজে প্রকাশিত হলে কালিয়াকৈর থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওই মেয়েকে আইনগত সযোগিতা দেন। পরে স্থানীয় মাতাব্বরদের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা কাবিন করে গেলো বুধবার রাতে উভয়ের বিয়ে পড়িয়ে দেন।
ওই নারী আরটিভি নিউজকে জানান, বিয়ে করেই আমি থানায় গেছি। তবে আমার বিষয় ওসিসাব জানেন। আমি এখন আমার স্বামীর বাড়ি আছি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, উভয়ের সম্মতিতে স্থানীয় মাতব্বররা ছেলে-মেয়েকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন