রাতভর ধর্ষণের পর নবম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলো ধর্ষকরা
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গেলো ৫ অক্টোবর রাতে ওই মাদরাসাছাত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে ইজিবাইকে ঘুরতে বের হন।এ সময় আলমগীর ও মমিনুল ইসলাম দুইজন ইজিবাইকের গতিরোধ করেন। পরে তারা দুজনে তাকে ও তার প্রেমিককে ইজিবাইক থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে নেন।
পরে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদের ছেড়ে দিবে না বলে হুমকি দেন দুই বখাটে। দুই বখাটেকে ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায়, তাদের বিভিন্ন ক্ষেতের আইল দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। পরে ছাত্রী ও তার প্রেমিককে রাত ১১টার দিকে আলমগীরের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তার প্রেমিককে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। অন্য আরেকটি কক্ষে ওই ছাত্রীর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে তারা দুজন রাত ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরে তিনটার দিকে প্রেমিকের হাতে ছাত্রীকে তুলে দেন এবং ঘটনাটি কাউকে না বলতে নানান রকম হুমকি দেন।পরে তার প্রেমিক ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ছাত্রীটি পুরো বিষয়টি তার পরিবারকে খুলে বলেন। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ৮ অক্টোবর ওই দুজনকে আসামি করে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন মো.আলমগীর (২২) ও তার বন্ধু মো.মমিনুল ইসলাম (২৪)। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন