‘টাকা না দিলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব’, হাসপাতালের চিকিৎসকদের হুমকি
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার ও অফিস স্টাফদের মুঠোফোনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পুরো হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার এবং অফিস স্টাফদের মুঠোফোনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করছে একটি সন্ত্রাসী পক্ষ।
এ সময় হুমকিদাতারা নিজেদের সন্ত্রাসীর গডফাদার মোল্লা মাসুদ, আরমান, শাহাদাত ও মান্নান পরিচয় দেয়।
সন্ত্রাসী গ্রুপটি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ হোসেন, ডা. শর্মী বসাক, ডা. তারিক হাসান, ডা. উমা রানী ধর, ডা. হুমায়ুন কবির, ডা. আবু সাঈদ, ডা. আহসানা আক্তার তারা, ডা. নাসরিন নাহার. ডা. তানভীর আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল করিম মিয়া ও অফিস সহকারী জিয়াউর রহমানকে হুমকি দেয়।
আরও পড়ুনঃ
ধর্ষণের বিচার চেয়ে অনশনে থাকা ঢাবি ছাত্রী অসুস্থস্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে: কাদের
সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে মোটা আঙ্কের টাকা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা দিতে ব্যর্থ হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই সন্ত্রাসী চক্রটি।
চক্রটি তাদের পরিবার পরিজনকেও হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এ ঘটনায় ডাক্তারদের পক্ষে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার মো. তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ করেন (ডায়রি নং- ৪২৮)।
স্টাফদের পক্ষে অফিস সহকারী জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি (নং-৩৮৩) দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে পুরো হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজ হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
অফিসার্স ইনচার্জসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শিগগিরিই আইনের আওতায় আনা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন