অভাবের তাড়নায় নবজাতককে দত্তক, ৯৯৯ এ কল করে ফেরত
স্বামী অলিউদ্দিন অন্য স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করেন। ভরণপোষণ দেন না হালিমা বেগমকে। বাবার বাড়ি বন্দর উপজেলার দসিরপাড় এলাকায় ৭ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাস করেন তিনি। দেড় মাস আগে আরও একটি কন্যা সন্তান হয় তার। দুশ্চিন্তার ভাঁজ পরে কপালে। এ মেয়ে আর নিজের খাবার খরচ জোটানোই কষ্ট হয়। তার ওপর নতুন এ সন্তান কী খাওয়াবে সে। ভেবেচিন্তে শেষতক নবজাতককে দত্তক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বন্দর কামতাল এলাকার পারভীন বেগম ও শামীম দম্পতির কাছে দেড় মাসের কন্যাকে দত্তক দেন তিনি। তার পর থেকেই মনের গহীনে একধরনের শূন্যতা বিরাজ করছিল হালিমা বেগমের। নারী ছেঁড়া ধনকে পরের ঘরে দিয়ে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। পারভীন বেগমের কাছে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চান। তবে এরই মধ্যে ওই শিশুর প্রতি পারভীন বেগমেরও একটা মায়া জন্মেছে। তিনিও কোল ছাড়া করতে চাইছিলেন না শিশুটিকে।
বৃহস্পতিবার রাতে ৯৯৯ এ কল দেন শিশুটির জন্মদাত্রী মা হালিমা বেগম। তিনি তার সন্তানকে ফেরত চাইতে সহযোগিতা চান।
বন্দর থানার এসআই সালেকুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে দত্তক দেয়া দেড় মাসের শিশুকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তার মা হালিমা বেগমের কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
হালিমা বেগম জানান, তার স্বামী অলিউদ্দিন একাধিক বিয়ে করেছেন। আমার আগের একটি কন্যা সন্তান আছে। দেড় মাসে আগে আরও একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাদের কোনো ভরণপোষণ দেয় না স্বামী। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি ভালো থাকুক এই চাওয়া থেকেই দত্তক দেই। তবে শিশুটিকে কোলছাড়া করার পর থেকে আমার খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
শুক্রবার নিজের সন্তানকে ফেরত পেয়ে যারপরনাই খুশি তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুদ্দিন জানান, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর)থানায় দুই দত্তক নেয়া দম্পতির উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার গর্ভধারিণী মা হালিমা বেগমকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
পি
মন্তব্য করুন