পরিবার বলছে হত্যা, স্বামীর দাবি আইসক্রিম নিয়ে আত্মহত্যা!
রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জের একটি বাসায় রোফিকা রুমা ইতি (২৬) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ইতির পরিবার তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইতির স্বামী দাবি করছে, আইসক্রিম নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তার স্ত্রী।
আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় ইতিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ইতি বগুড়া শীবগঞ্জ উপজেলার গণকপাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী মো. জামাল হোসেন ও ছেলে এহসান হোসেন ইজাজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে নিকুঞ্জ-২ জামতলা টানপাড়া মতিউর রহমানের দ্বিতলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের সাড়ে ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। আগে চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার ছিলো ইতি। তার স্বামী একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।
স্বামী জামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাতের খাবার শেষে ইতি ফ্রিজ থেকে একটি আইসক্রিম বের করে খাওয়ার জন্য। তখন আইসক্রিম কিছুটা কম দেখে আমি তার কাছে জানতে চাই কে খেয়েছে আইসক্রিম। এসব নিয়েই রাতে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটাটির একপর্যায়ে ইতি বাসা থেকে বেরিয়ে যেতেও চায়। তবে আমি তাকে বাধা দেই। এরপর রাত ২টার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি ইতি বিছানায় নেই। পরে বারান্দায় গিয়ে গ্রিলের সঙ্গে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ইতির বড়ভাই সাংবাদিক হুমায়ুন কবির রোজ বলেন, আমার বোন মানসিকভাবে খুবই শক্ত ছিলো। স্বামীর বাড়ির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বারান্দায় হাঁটু গাড়া অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো ছিলো, তাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা হচ্ছিলো। সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না সে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি রহস্যজনক,তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতর সুরতহাল প্রতিবেদনকারী খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছামাদ জানান, মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কেএফ/এম
মন্তব্য করুন