• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাঁচ বছরে এক ঘণ্টাও চেয়ারে বসতে পারেননি চেয়ারম্যান শেফায়েত

ভৈরব প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০১
The chairman could, not sit in the chair, rtv news, Latest bd news headline
ইউপি চেয়ারম্যান সরকার মো. শেফায়েত উল্লাহ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েও এক ঘণ্টার জন্যও চেয়ারে বসতে পারেননি এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

অবশেষে দুই হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউপি চেয়ারম্যান সরকার মো. শেফায়েত উল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক মাস্টার এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরার বাড়ি বংশের মুসলিম মিয়া।

গ্রামের এই দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ফলে অহিদ মিয়া, মানিক মিয়া ও সিদ্দিক মিয়া নামে তিনজন খুন হয়। একইসঙ্গে উভয়পক্ষের নারী ও শিশুসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

নিহতদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক মাস্টারের পক্ষের। একজন চাচাতো ভাই, একজন ভাতিজা ও অপরজন সমর্থক ছিলেন। ফলে প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।

এছাড়াও ইউনিয়নের সবকটি গ্রামের বাসিন্দারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফজলুল হক মাস্টারের পক্ষে অবস্থান নেয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক। আর নুরার বাড়ির মুসলিম মিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয় ইউপি চেয়ারম্যান সরকার মো. শেফায়েত উল্লাহ। ফলে একের পর এক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় তাকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

মানুষ ধর্ষণবিরোধী ভ্যাকসিন চায়: গয়েশ্বর

এক বছর পর হাসপাতাল থেকে কারাগারে সম্রাট

গৃহবধূকে র্ধষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শুধু তাই নয়, তার বাবা মরহুম আবু বকর সিদ্দিক ২০১৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এর পরের বছর মৃত্যুর পর ছেলে মো. শেফায়েত উল্লাহ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। তবে এক ঘণ্টা সময়ের জন্যেও বসতে পারেননি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে। ফলে নিজ বাড়িতে বসেই পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

যদিও তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতেন। অবশেষে মেয়াদের মাত্র তিন মাস বাকি থাকতে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ফলে তার কর্মী-সমর্থকরা দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন।

এ প্রসঙ্গে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা মুঠোফোনে জানান, কোন জনপ্রতিনিধি অভিযুক্ত হিসেবে কারাগারে গেলে স্থানীয় সরকারের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির কেন্দ্র ও তৃণমূলে 
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জিতে যা বললেন মিশা সওদাগর
নির্বাচনে জিতে যা বললেন ডিপজল (ভিডিও) 
নির্বাচনে হেরে যা বললেন নিপুণ
X
Fresh